Skip to main content

উইন্ডোজ ১০ এ ভার্চুয়াল বক্স এবং ডুয়াল বুট ছাড়াই লিনাক্স ইন্সটল (০১)


আমরা সবাই কম বেশি উইন্ডোজ ১০ অপারেটিং সিস্টেমের সথে পরিচিত। আমরা যারা  "কম্পিউটার সাইন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং" অথবা "সফটওয়ার ইঞ্জিনিয়ারিং" অথবা অন্যকোনো তথ্য প্রযুক্তি বিষয়ক সাবজেক্টে পড়াশুনাকরি, তাদের প্রায় সবার সিলেবাসেই "অপারেটিং সিস্টেম" নামক একটি কোর্স অন্তর্ভূক্ত থাকে। এই কোর্স করার জন্য আমাদের প্রয়োজন লিনাক্স কার্নেলের উপরে বেইজ করে বানানো কোনো অপারেটিং সিস্টেম। লিনাক্স কিন্তুু কার্নেলের নাম। এটি কোনো অপারেটিং সিস্টেম না।তাহলে অনেকে কেন বলে আমি লিনাক্স অপারেটিং সিস্টেম ব্যবহার করি ?

এর কারন হলো আসলে মানুষ বুঝাতে চায় যে সে লিনাক্সের উপরে ভিত্তি করে বানানো কোনো অপারেটিং সিস্টেম ব্যবহার করে। এখন ধরুন, আপনার এই ধরনের একটা অপারেটিং সিস্টেম দরকার, যাতে যাতে আপনি আপনার অপারেটিং সিস্টেম কোর্সের ল্যাব অথবা আপনার ব্যক্তিগত কোনো কাজ করতে পারেন এবং সাথে লিনাক্সের যাবতীয় কাজ করতে পারেন। এখন আপনি কি করবেন ? 

আপনার কোনো বন্ধু থাকলে তার কাছ থেকে বুদ্ধি নিতে পারেন যে কি করা যায়। প্রায় সবাই আপনাকে ৩ টা পদ্ধতির কথা বলবে,

১) ডুয়াল বুটের মাধ্যমে উইন্ডোজ ১০ এর পাশাপাশি লিনাক্স ইন্সটল করা।
২) উইন্ডোজ ১০ এর মধ্যে ভার্চুয়াল বক্স ব্যবহার করে তার ভিতরে লিনাক্স ইন্সটল করা।
৩) শুধু লিনাক্স ইন্সটল দেয়া, এখানে অন্যকোনো অপারেটিং সিস্টেম থাকবে না।

আমার মতে আপনারা অনেকে ৩ নম্বর অপশন টা সিলেক্ট করতে চাইবেন না। এটা করলে ভালো, কিন্তুু যারা এটা করতে চান না তাদের কিন্তুু মাত্র ২ টা অপশন আছে। এখন এই ২ টা অপশনের আবার ২ টা অসুবিধা আছে। আবার কি অসুবিধা ?

দেখুন, ১ম অপশনে ডুয়াল বুটের মাধ্যমে উইন্ডোজ ১০ এর পাশাপাশি লিনাক্স ইন্সটল করলে যে সমস্যা টা হবে তা হলো, আপনি যে লিনাক্স ভিত্তিক অপারেটিং সিস্টেম ই ব্যবহার করোন না কেন আপনি সম্পূর্ন রিসোর্স ব্যবহার করতে পারবেন না।

কারন খুব সহজ, আপনি কিন্তুু সম্পূর্ন অপারেটিং সিস্টেম ইন্সটল করেন নি, আপনি ডুয়াল বুটের মাধ্যমে একই মেশিনে ২ টা আলাদা অপারেটিং সিস্টেম ইন্সটল করেছেন। এইভাবে ব্যবহার করলে আপনি আপনার মেশিন খুব একটা ফাস্ট করতে পারবেন না।

অপশন ২য় তে যে সমস্যা তা হলো, উইন্ডোজ ১০ এর মধ্যে ভার্চুয়াল বক্স ব্যবহার করে তার ভিতরে লিনাক্স ইন্সটল করলে আপনার মেশিনের র‍্যাম থেকে কিছু অংশ অ্যালোকেট করে দিতে হয় অন্য কোনো অপারেটিং সিস্টেম ইন্সটল করার সময়। এটা করলে আপনার বর্তমান অপারেটিং সিস্টেম কিছুটা স্লো হয়ে যাবে।

তাহলে এখন উপায় কি ৩য় অপশন ও আমরা সিলেক্ট করতে চাই না, আবার ১ম ও ২য় অপশনে ও সমস্যা। উভয় সংকট। কি করা যায় ? 

আমরা এখন দেখাবো যে কিভাবে এই ৩ টা অপশনের একটা ও না ব্যবহার করে লিনাক্স ইন্সটল করা যায় এবং ব্যবহার করা যায়। এই পদ্ধতিতে নিচের লিনাক্স ডিস্ট্রো সমূহ ব্যবহার করা যাবে।

 এই পদ্ধতিতে ইন্সটলেশনের প্রক্রিয়া ২য় পর্বে দেখানো হয়েছে। ধন্যবাদ সবাইকে।

Comments

  1. ভাইয়া খুব হেল্পফুল ছিল। আরও লিখতে থাকেন। ধন্যবাদ ভাই! ☺

    ReplyDelete
    Replies
    1. ২য় ও ৩য় পর্ব পড়ার অনুরোধ রইলো।

      Delete

Post a Comment

Popular posts from this blog

ডিজাইন প্যাটার্ন

আসসালামু আলাইকুম। সবাইকে ঈদ মুবারাক। বাংলা ভাষায় ডিজাইন প্যাটার্নের নিয়ে লেখা ব্লগ খুবই কম। আমি একজন সাধারন মানুষ, এই বিষয়ে পড়াশুনা করতে গিয়ে একটা চমৎকার বাংলা ব্লগের সন্ধান পাই। কিন্তু সমস্যা হলো ওই ব্লগে সবকিছু তেমন সাজানো গোছানো মনেহয়নি আমার কাছে। তাই আমি আমার ব্লগে এগুলোকে সুন্দর করে সাজিয়ে একটা লিস্ট বানিয়েছি যাতে করে যখন যার যে প্যাটার্ন টা দরকার সে যেন এখান থেকে খুব সহজেই তা পেতে পারে। প্রথমেই আমাদের জানতে হবে যে  ডিজাইন প্যাটার্ন কি ?   এবং এটা কেন দরকার ?   এই বিষয়ে জানার জন্য আপনি আগে এই ব্লগটা পরে আসতে পারেন। আরও জানতে পড়তে পারেন এই ২ টি ব্লগ, ১ম টা হলো  এই লেখাটা  এবং ২য় টি হলো  এই লেখাটা। ক্রিয়েশনাল ডিজাইন প্যাটার্ন সিঙ্গেলটন ডিজাইন প্যাটার্ন প্রোটোটাইপ ডিজাইন প্যাটার্ন ফ্যাক্টরি মেথড ডিজাইন প্যাটার্ন অ্যাবস্ট্রাক  ফ্যাক্টরি ডিজাইন  প্যাটার্ন বিল্ডার ডিজাইন প্যাটার্ন স্ট্রাকচারাল ডিজাইন প্যাটার্ন প্রক্সি ডিজাইন প্যাটার্ন ডেকোরেটর ডিজাইন প্যাটার্ন ফ্যাস...

কনসোল টেবিল

আসসালামু আলাইকুম। সবাইকে ঈদুল আজহার শুভেচ্ছা, ঈদ মুবারাক। আজকে আমরা একটি চমৎকার বিষয় নিয়ে আলোচনা করবো। আমরা যখন ভার্সিটিতে রিলেশনাল ডাটাবেজ শিখি, তখন আমাদের ভার্সিটি থেকে একটা প্রোজেক্ট করতে দেয়া হয় যেখানে এমন একটা এপ্লিকেশন বানাতে বলা হয় যেটা ডাটাবেজের সাথে কানেক্ট থাকবে এবং এটা দিয়ে Create, Read, Update, Delete এই ৪ টা অপারেশন করা যাবে। Create : এর মানে হলো ইউজার ইনপুট থেকে ডাটা নিয়ে সেটা ডাটাবেজে সেভ করে রাখতে পারতে হবে। Read : এর মানে হলো বর্তমানে যে টেবিল গুলো রয়েছে ডাটাবেজে সেগুলোকে টেবিল আকারে একসাথে ভিউ করাতে হবে। Update : এর মানে হলো ডাটাবেজের যেকোনো টেবিলের ডাটা পরিবর্তনের ব্যাবস্থা থাকতে হবে। Delete : এর মানে হলো ডাটাবেজের যেকোনো টেবিলের ডাটা মুছে ফেলার ক্ষমতা থাকতে হবে। এখন অনেকেই এই ধরনের প্রোজেক্ট করার সময় গ্রাফিক্যাল ইউজার ইন্টারফেস (GUI) ব্যাবহার করে এবং Read অপারেশন টা করে থাকে। আজকে আমি দেখাবো কিভাবে কোনো GUI ছাড়াই এই কাজটা শুধু কনসোল দিয়েই করে ফেলা সম্ভব। চলুন তাহলে শুরু করা যাক। ১) প্রথমে ভিজ্যুয়াল  স্টুডিও ওপেন করে একটা নতুন (.NET...

হ্যালো ওয়ার্ল্ড ! (আসকি আর্ট)

পৃথিবীর প্রায় সব প্রোগ্রামারদের জীবনের প্রথম প্রোগ্রাম লেখা শুরু হয় " Hello World " এই লেখাটা স্ক্রীনে প্রিন্ট করে। আমি যখন প্রথম প্রোগ্রামিং শেখা শুরু করি তখন এই লেখাটা স্ক্রীনে প্রিন্ট করি। এখন আমি আপনাদের দেখাবো কিভাবে আসকি আর্ট দিয়ে এই কাজটি করা যায়। " Ascii Art " বলে এক ধরনের গ্রাফিক্স ডিজাইন আছে, আমরা প্রোগ্রামিং এর মাধ্যমে বিভিন্ন লেখা খুব সুন্দর ভাবে ডিজাইনের মাধ্যমে স্ক্রীনে প্রিন্ট করতে পারি। আসলে প্রোগ্রামিং শেখার শুরুর সময় টা আনন্দময় করার জন্যই আমার এই ক্ষুদ্র প্রচেস্টা।  আমি প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজ হিসেবে C# ব্যবহার করছি। এটি করতে হলে আপনাদের যা যা প্রয়োজন তাহলো : - ১) একটি কোড এডিটর/আইডিই ( Visual Studio / Visual Studio Code ) দরকার। ২)  Visual Studio Code দিয়ে করতে চাইলে .NET ইন্সটল থাকতে হবে। ৩) ইন্টারনেট সংযোগ দরকার। ৪) বেসিক C# সিনট্যাক্স জানা দরকার। চলুন তাহলে শুরু করা যাক। ১) প্রথমে Visual Studio সফটওয়ারটি চালু করুন এবং এখান থেকে "Console App ( .NET Core )" প্রোজেক্টটি সিলেক্ট করুন। ২) প্রোজেক্ট নাম...